শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এবার মোংলায় ‘কালো ডিম’ পাড়ল  হাঁস

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২ ১২ ০১  

এবার-মোংলায়-কালো-ডিম-পাড়ল- হাঁস

এবার-মোংলায়-কালো-ডিম-পাড়ল- হাঁস

সম্পর্কিত খবর সেই পাতিহাঁস পাড়ল আরো একটি কালো ডিম  দেশি হাঁস পাড়ল কালো ডিম ভোলার চরফ্যাশনের পর এবার বাগেরহাটের মোংলায় কালো ডিম পাড়া হাঁসের সন্ধান পাওয়া গেছে।

শনিবার সকালে উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজমা বেগমের খাকি ক্যাম্পবেল জাতের একটি হাঁস কালো ডিম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। কারণ দেশি হাঁসের এমন রঙের ডিম হওয়ার কথা না। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত খোদ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরও।

জানা গেছে, নাজমা বেগমকে একটি এনজিও থেকে ২৫টি খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তিনি আরো ১০টি হাঁস কিনে পালন শুরু করেন। গত তিন মাস ধরে তিনি এই ৩৫টি হাঁস পালন করছেন। ১৪-১৫ দিন ধরে কয়েকটি হাঁস ডিম দিতে শুরু করেছে। এর মধ্যে একটি হাঁস দিচ্ছে কালো ডিম।

নাজমা বেগম বলেন, ক্যাম্পবেল হাঁস বেশিরভাগই নীলচে রঙের ডিম দেয়। সাদা ডিম খুব একটা দেয় না বললেই চলে। তাই ডিম যেহেতু নীল, সাদা ও লাল বর্ণের হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কালোও হয়ে থাকতে পারে। তাই কালো ডিম কেন দিলো তা নিয়ে তিনি তেমন কোনো চিন্তা করেনি। তিনি এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, শনিবার দুপুরে দুইটি কালো ডিম রান্না করে খেয়েছেন তারা। আর বিকেলে একটি কালো ডিম ভেজে খান। তবে ডিম কালো হলেও কুসুম অন্যান্য ডিমের মতোই। কুসুমের রঙে কোনো ভিন্নতা নেই।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অমল কুমার সরকার বলেন, হাঁসের কালো ডিম কেন হয়, সেটা আমার জানা নেই। আমি এই প্রথম কালো রঙের ডিম দেখেছি। তবে বিষয়টি পরীক্ষা না করে এর সঠিক কারণ বলা যাবে।

প্রসঙ্গত, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নানগর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাসলিমা বেগম ও জুলেখা আক্তারের দুটি হাঁস দুটি করে কালো ডিম দেয়। ঘটনাটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী